গোধূলিকল্যাণ সংঘের কবিতা - টোকন ঠাকুর

একদিন, ধুলো নিয়ে মুঠো মুঠো কবিতা লিখেছি।
একবার, কাব্যসমালোচনা করতে গিয়ে, আমারই লেখক-বন্ধু, লিখল:
...কবি, মরমী প্রণেতা; কিন্তু তার একটি কবিতার মধ্যেই চব্বিশবার
ধুলো পাওয়া গেছে...’

তাই তো! একটিমাত্র কবিতা পড়তে গিয়ে, যদি চব্বিশবার
ধুলো ঢুকে পড়ে চোখে, নাকে, মুখে
এটা কে সহ্য করবে? কোন দুঃখে?

তারপরও তলে তলে, আমি কিন্তু ধুলোচর্চা করেই চলেছি।
রিয়েলি, আমি এখনো ধুলোর মধ্যেই গেরুয়া সম্ভাবনা
দেখতে পাচ্ছি;
যেমন, প্রত্যেক জোছনাতেই আমি লক্ষ্য করছি-
গৃহত্যাগ কীরূপে জরুরি?
ধুলোকে মাঝেমধ্যে, ধূলি নামেও ডেকেছি। কেননা
আমার মনে পড়েছে, সন্ধ্যার সামান্য আগে, ধুলোর মধ্যে
হাঁটতে হাঁটতে গরু খেদিয়ে বাড়ি ফিরছি
এবং হাই ইশকুলে ওঠার কিছুদিন পর, আমি জানলাম
গোধূলি: হোয়াটস্ কলড্ গোধূলি?

আমি গোধূলির প্রেমে পড়ে যাই! কিন্তু একদিন
সেই গোধূলিকে আমি হারিয়ে ফেলি
এবং আমি শহরে চলে আসি এবং আমি
গোধূলির কথা ভাবতে ভাবতে, ধূলিমলিন হয়ে যাই;

ভবা, সাধে কি আর ধূলিবিদ্যা শিখি?

এবং আজ, ধূলিতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। রাস্ট্রের যে কোনও ফাইলে
যে কোনও সমীক্ষায় ধুলো ঢুকে গেছে।
এদিকে আমি, গোধূলি হারানো কবি
প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে, ঝাঁপ খুলে বসে থাকি
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এক
গোধূলিকল্যাণ সংঘের...